সেলিম রেজা, মেহেরপুর প্রতিনিধি: জান ও মালের নিরাপত্তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও পূজা উদযাপন কমিটির সাবেক সহ সভাপতি দেবাশিষ বাগচি মনু। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সোডাপ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন।
মেহেরপুর -১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেনের ছোট ভাই ও মেহেরপুর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সরফোরাজ হোসেন মৃদুলের সাথে আমার ২০২১ সাল পর্যন্ত যৌথ ব্যবসা ছিলা। যৌথ ঠিকাদারি ব্যবসা পরিসমাপ্তি ঘটালে তার কাছে আমার মূলধন ও লভ্যাংশ সহ ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা পাওনা হয়। হিসাব করে পাওনা টাকা বুঝিয়া দিতে বললে সে নানা অজুহাতে আমাকে ঘোরাতে থাকে । বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে হুমকি দেয় এবং বিভিন্ন ধরনের ভয় ভিতি দেখায়। আমি প্রাপ্য টাকার জন্য আমার ও তার পরিবারের লোকজনসহ জেলা যুবলীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে অবহিত করি । এক সময় সবার হস্তক্ষেপে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আমার সাথে হিসাব করতে রাজি হয়।
এক পর্যায়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললে তখন সে মৌখিক ভাবে এক কোটি ৮০ লক্ষ টাকা দেবার প্রতিসূতি দিয়ে মীমাংসা করে। পরে ২০২৩ সালের ১৬ জুলাই আমাকে মেহেরপুর শাখা রুপালী ব্যাংকের ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার একটি চেক দেন। যে হিসাব নম্বরটি ২০২১ সাল থেকে বন্ধ । আমি ২৪ জুলাই চেক জমা দিলে ব্যাংক চেকটি ডিজআনার করে । ৩০ আগস্ট আমি সরফোরাজ হেসেনের নামে উকিল নোটিশ পাঠায়। ১লা সেপ্টেম্বর পুলিশ আমার বাড়ি তল্লাশি চালায়। বর্তমানে সরফরাজ হোসেন প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারকে মানসিক ভাবে নির্যাতন সহ প্রাণ নাসের হুমকি দিচ্ছে। আমার ব্যবসা শুরু থেকে এয় পর্যন্ত সকল বিষয় সরফরাজ হোসেন মৃদুলের ভাই জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন অবগত আছেন। বর্তমানে আমার বাড়ির সামনে সব সময় পুলিশ থাকছে । আমার স্ত্রী অসুস্থ তাও আমি দেখতে য়েতে পারছিনা । কোন ভাবে আমি যদি এয় টাকা পাওনা থেকে বঞ্চিত হয় তাহলে আমার আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবেনা । তায় আমি নিরুপায় হয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমার ও পরিবারের জান মালের নিরাপত্তার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
যুবলীগের আহবায়ক ও পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন, বিষয়টি দেবাশিষ বাগচি জেলা যুবলীগকে জানিয়েছে। অনেক টাকার বিষয় তাই আইন যা করবে তাই। তবে আমরা বিষয়টি যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে জানিয়েছি আশাকরি তারা ব্যবস্থা নেবে।
যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শরফোরাজ হোসেন মিদুলের মোবাইল ফোনে মেসেজ ও একাধিকবার ফোন দিলে তিনি না ধরে ফোন কেটে দেওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।